গাজা ইহুদিবাদী জল্লাদদের কসাইখানায় রূপ নেওয়া সত্ত্বেও সৃজনমত্তে মেতে আছেন লেখকরা। তাদের লেখায় উঠে আসছে আশা, নিরাশা, প্রতিবাদ ও সুখ-দুঃখের গল্প। ফিলিস্তিনের অন্যত্র গাজাকে আদর করে ডাকা হয় 'কমলা ও ছোটগল্পের রপ্তানিকারক' হিসেবে।
এই উপত্যকা পশ্চিম এশিয়ার পঁচিশ মাইল দীর্ঘ ভূমির অংশ। এটির দক্ষিণে মিশর ও পূর্বে ইজরায়েলের সীমানা। আর এর পশ্চিম উপকূলে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত।
সমগ্র গাজা উপত্যকাকে বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র বলা হয়। গাজার প্রতিটি গ্রামে বেশ কয়েকটি শরণার্থীশিবির রয়েছে, যেখানে ইজরায়েলি দখলদারিত্বের পর বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের রাখা হয়েছে। উপত্যকার নামকরণ হয়েছে এর ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী গাজা শহরের নামানুসারে। কেনানীয়রা সম্ভবত গাজার নাম দিয়েছিল, প্রাচীন সেমেটিক ভাষায় যার অর্থ 'শক্তি'।
মিশরীয়রা একে 'গাজ্জাত' (পুরস্কারের শহর) বলে ডাকত। গাজা শহরকে বিশ্বের সপ্তম প্রাচীন শহর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও কেবল ধ্বংস, বেদনা আর নিষেধাজ্ঞা, দারিদ্র্য ও বিচ্ছিন্নতার স্মৃতি নিয়ে এখানকার অধিবাসীরা বেঁচে আছে। তবুও আশার কথা হলো- এসব অনুষঙ্গ লেখকরা তাদের গল্পে তুলে ধরে অনাবিষ্কৃত এক জগতের সন্ধান দিচ্ছেন পাঠকের সামনে।