বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালিমাত্রেরই চাই বঙ্গবন্ধুকে জানা, আরও গভীরভাবে জানা। সেই গভীরতায় প্রবেশ করতে প্রয়োজন একটি উন্মুক্ত দরোজা। তেমনি একটি দরোজা এই ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির শতবর্ষ’। কোনো বর্ণনার ভারে ভারী হয়ে ওঠেনি এই বইয়ের কোনো পৃষ্ঠা বা ছত্র। বঙ্গবন্ধুর জীবনচলার পথে এক-পা এক-পা সামনে এগোনোর সোপান এই গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ছাপ্পান্ন বছরের পথ চলার তারিখ-পরম্পরা বিবরণ ফুটে উঠেছে বইয়ে। এখানেই থেমে থাকেনি লেখকের কলম, চলেছে আরও সামনে আরও আগে। পথ চলেছে বঙ্গবন্ধুর জন্মের এই শতবর্ষপূর্তির ২০২০ পর্যন্ত।
গ্রন্থপাঠে পাঠক সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন, আজকের এই মুক্ত-স্বাধীন জাতি কতোটা ধারণ করতে পেরেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। যার দিকনির্দেশনা লিখিত আছে বাংলাদেশের সংবিধানে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ‘সুজলা-সুফলা দেশ’ বাংলাকে সোনার বাংলা বানানো। যেখানে থাকবে না দুঃখ-দারিদ্র্যের অভিশাপ, অসাম্য-অর্থনীতিক ব্যাস্থার শ্রেণিবিভাজন, ধর্মীয় হানাহানি কিংবা বিদ্বেষ, বিশেষ কোনো ধর্মের প্রতি রাষ্ট্রীয় আনুক‚ল্য; থাকবে সাম্যবাদের নীতি, উদার জাতীয় চেতনা আর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। যার সংক্ষিপ্তরূপ প্রতিফলিত হয়েছে রাষ্টীয় চার মূলনীতিতে। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এই চার নীতিই বাংলাদেশের তথা সংবিধানের মূলনীতি।