গত আড়াই হাজার বছর ধরেও হেরাক্লিটাসের দার্শনিক অবস্থান নিয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রতি যুগের দার্শনিক বা দর্শন অনুগ্রাহীরা একেকভাবে হেরাক্লিটাসকে আবিষ্কার করেন। এমনটা যে আগামী শতকগুলােতেও চলতে থাকবে; হেরাক্লিটাসের আড়াই হাজার বছরের প্রাসঙ্গিকতা তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
হেরাক্লিটাসের প্রাচীন বা আনিক ধারাভাষ্যকারদের কেউ কেউ তাকে বস্তুতান্ত্রিক একেশ্বরবাদী (ম্যাটারিয়াল মনিস্ট) বা একজন প্রসেস ফিলােসফার, সায়েন্টিফিক কসমােলজিস্ট, একজন মেটাফিজিশিয়ান, অথবা প্রধানত এক ধর্মীয় চিন্তক, এক প্রয়ােগবাদী, একজন যুক্তিবাদী, অথবা কোনাে আধ্যাত্মসাধক, তিনি এক প্রথাগত চিন্তক কিংবা বিপ্লবী, হয়তাে বা তিনিই প্রথম সত্যিকারের দার্শনিক।
তবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই এফেসুসের এ সাধু আগামীতেও বিতর্কিত থেকে যাবেন এবং সুস্পষ্ট ব্যাখ্যার অতীত থাকবেন। তবে পণ্ডিতরা হেরাক্লিটাস ব্যাখ্যায় বেশ অগ্রগতি সাধন করেছেন। গত এক দেড়শাে বছরে হেরাক্লিটাস চর্চায় কয়েকগুণ অগ্রগতি হয়েছে। বিশ শতকের শীর্ষ অনেক দার্শনিক, চিন্তক, কবি-সাহিত্যিক হেরাক্লিটাস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।