উম্মে রায়হানা খেলতে-খেলতে লেখে, কবিতা, বা হয়তো গান। এই খেলা- সদর্থক। তৎসমে বললে বলা যায়, স্ফূর্তি, হয়তো। ফরাসির সিলভার লাইনিং দিতে, এল ভিতাল। বস্তুত, এই সহজাত স্বতঃস্ফূর্তি, এই মজ্জাগত নৃত্য এতটাই প্রবল, যে, আমার জানামতে, ছন্দে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক আয়ত্তি-ব্যতিরেকেই সে অক্ষর-মাত্রা-স্বরে দিব্যি লিখে চলে, প্রায় কোনো পদস্খলন-ব্যতিরেকে ভারি অবাক লাগে। এই "স্ফূর্তি” কিন্তু একটা মুখোশও আবার। এ নজরুলের সৃষ্টিসুখের উল্লাস ঠিক নয়... সৃষ্টিবিষের তাড়নায় ডান্স ম্যাকাবারও, হামেশা। এ আমরা প্লাথে দেখেছি, কিছুটা, আগে। বরং এই নৃত্য যেন অনেক অক্ষর-আঁকা এক ঝলমলে শাড়ি, যে-অক্ষরেরা সব বলে, শুধু যা-বলার, তা ছাড়া। প্রথম বই, প্রথম সন্তানের মতো... বা, মা যেমন বলতেন: "পেটের শয়তান”। শয়তান যথারীতি অত্যাচারী হোক, (উড়ন) চণ্ডী মা-টিকে লিখতে বাধ্য করে চলুক, এ-ই কামনা।