মেয়েটা ছিল জগত বিখ্যাত বীর মেহরাভ তাফসীরের প্রিয়তমা। যার রূপ এবং বীরত্বের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে। শত শত বছর পরও পুরুষেরা যার নাম স্মরণ করে ভালোবাসতে ভয়। পেয়েছিল নিজেদের প্রেয়সীদের। রক্তের সমুদ্র সাঁতরে যে নারী অর্ধশতাব্দির ইতিহাস বদলে দিয়েছিল, নাম তার 'ফালাক ইলহামান।'নিস্তব্ধ এক জোস্নালোকিত রাতে রাজহাভেলির ছাদে এই সুন্দরী। আদিম লীলায় মেতে উঠেছিল প্রেমিকের হত্যাকারীর সাথে। ভালোবেসে ফেলেছিল মোহনীয় ঐ যুবকটিকে...
কোনো এক কালে যে যুবক যুদ্ধের ময়দানে মেহরাভ তাফসীরকে পর পর তিনবার তরবারি বিদ্ধ করে হত্যা করে। যুদ্ধটার বিপক্ষে ছিল স্বয়ং ইবলিশ। দরবেশের বেশে ইবলিশ। এক রাতে নেমে আসে পৃথিবীতে, আর মৃত্যুকূপ থেকে বাঁচায় ফালাককে।
কেন? কেন ওই যুদ্ধের বিপক্ষে। ছিল ইবলিশ? কেন শরবতের পেয়ালায় যুদ্ধের বিভীষিকাময় ভবিষ্যৎ। দেখিয়ে ফালাককে সতর্ক করেছিল? যে যুদ্ধে মুসলিমদের পরাজয়। ছিল শোচনীয়ভাবে! যে যুদ্ধে মুসলিম সাম্রাজ্যের সুলতান তাফসীরের শাহাদাত বরণ করবার কথা ছিল পূর্ব নির্ধারিত। মহাজাগতিক আবহে রচিত প্রেম, প্রতারণা, পরাজয়, যুদ্ধ, ধ্বংস আর আধ্যাত্মিকতার এক শ্বাসরুদ্ধকর উপাখ্যান। মহাপ্রলয়ের প্রান্তর।