বাংলাদেশের শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১) এক অবিস্মরণীয় নাম। মাত্র ছেচল্লিশ বছরের ঘটনাবহুল জীবনে তিনি বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন আদর্শ শিক্ষক, বহুমাত্রিক লেখক, শ্রোতাসম্মোহনকারী বক্তা, সফল নাট্যপ্রতিভা, বিজ্ঞগবেষক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, নিপুণ গল্পকার, সাহিত্য সমালোচক হিসেবে। তবে অন্যসব পরিচয় ছাপিয়ে অধিক সমুজ্জ্বল হয়েছে তাঁর সাহিত্য সমালোচনা ও নাট্যচর্চা সম্পর্কিত কার্যক্রম। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে নাট্যকার, অভিনেতা, নাটকের অনুবাদক, নির্দেশক ও সংগঠক।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে যে কয়েকজন সৃজনশীল লেখক বুদ্ধিজীবী পাকিস্তানপন্থি ঘাতকদের নির্মমতায় শহিদ হন, তিনি তাঁদের অন্যতম।
লেখক হিসেবে মুনীর চৌধুরীর আত্মপ্রকাশ সাহিত্য সমালোচকরূপে। মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সম্পাদিত মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকার ফাল্গুন ১৩৪৯ সংখ্যায় তাঁর ‘সতেরো শতাব্দীর হেয়কয়ি কবিতা’ শীর্ষক লেখাটি মুদ্রিত হয়। এরপর তিনি গল্প ও নাটক রচনায় মনোযোগী হন। এবং সরে আসেন প্রবন্ধ ও সমালোচনার ক্ষেত্র থেকে।