প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে পৃথিবী। ১৫ বছর আগে কেউ ভাবেনি মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যাবে। অথচ আজ শুধু টাকা পাঠানো নয়, সঞ্চয় করা, পণ্য বা সেবার বিনিময়ে পেমেন্ট করা, বিল পরিশোধ করা, ঋণ নেওয়া সবই করা যায়। মোবাইল সেট-টা যেন একটা ছোটখাটো ব্যাংকের শাখাতে পরিণত হয়েছে। বিদেশে আরো অনেক উদ্ভাবন ঘটেছে। ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ তোলা হচ্ছে, চেহারা স্ক্যান করে কে-ওয়াইসি'র কাজ সেরে নিচ্ছে। ব্লক চেইন, ক্রিপ্টো কারেন্সি, পিয়ার টু পিয়ার (পিটুপি) বা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া, রবো-অ্যাডভাইজরি ইত্যাদি বিভিন্ন দেশে জনজীবনে জায়গা করে নিয়েছে। ফিন্টেক বা স্টার্টআপের অন্য যেকোনো সেক্টরে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের দেশটি দারিদ্র। জনসংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের আছে বুদ্ধিমান, উদ্যমী যুবশক্তি। এদের অপার সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন প্রযুক্তি। চীন যেটা নব্বইয়ের দশকে করেছিল, লিপফ্রগ, আমাদের এখন সেই রাস্তা বেছে নিতে হবে। আর সেজন্য স্টার্টআপ আমাদের অনিবার্য বাহন। আমাদের নীতিনির্ধারকরা স্টার্টআপ নিয়ে অনেক বাক্য ঝেড়েছেন, খোয়াব দেখিয়েছেন। যতটুকু তারা সহযোগিতা করেছেন, তার চেয়ে বেশি প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অথচ স্টার্টআ-ে পর বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সারা দেশের উন্মুখ আকাঙ্ক্ষা আর উদ্বাহু সমর্থন। সরকার একটি সোজা রাস্তা চেনে, অর্থ বরাদ্দ। তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন নীতি সহায়তা আর মসৃণ বাস্তবায়ন। সহায়তা দিতে পারলে ভালো। না দিতে পারলে, নিদেনপক্ষে প্রতিবন্ধক হয়ে যেন না দাঁড়ায়। তাতেই আমাদের তরুণরা বিশ্ব জয় করতে পারবে। স্টার্টআপের সমস্যা ও সম্ভবনার এইসব দিক উঠে এসেছে, এই বইয়ে।
শওকত হোসেন এর চমৎকার সাহিত্য ও জ্ঞানগর্ভ বইগুলো এখন ডিস্কাউন্টে সংগ্রহ করুন। তার লেখাগুলো আপনাকে ভাবাবে এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে। আজই অর্ডার করুন!