‘আপনার চিত্তচাঞ্চল্য এত প্রকট কেন?’ বা ‘এত অস্থির কেন আপনি?’-এই প্রশ্ন করা হয়নি তাঁকে। করলে হয়তো এর উত্তরে তিনি বলতেন যে, ‘আমার দর্শনতাত্ত্বিক জ্ঞান সর্বদাই আমাকে তাড়িত করে। বেঁচে থাকার স্বল্পস্থায়িত্ব আমার চেতনাকে নাড়া দ্যায়, তাড়না দ্যায় সৃষ্টির, ভালো কাজের, যা এর আগে আর কেউ করেনি।’
উপলব্ধিজাত এই অব্যক্ত উত্তরটিই একজন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। একজন কর্মোন্মাদ মানুষ। অবশ্য তাঁর যাবতীয় উন্মত্ততাকে উসকে দিলে এই নিয়মসিদ্ধ সমাজে তাঁকে বেঁধে রাখাটা বেশ দুরূহই বটে। নগরতান্ত্রিক স্কেচে আঁকাটাও দুঃসাধ্যপ্রায়।
তাই কিছুটা বায়বীয় শৃঙ্খল আর কিছুটা শৈল্পিক উদারতার দেয়ালে বাঁধা হয়েছে তাঁকে। আর এই বাঁধা মানেই ‘বাঁধা পড়ে যাওয়া’ নয়। নয় বিবেচনাধীন সীমাবদ্ধতাও। যা বলার ছিল, তার সবটুকু ঠিক ঠিকই পৌঁছে গ্যাছে দেয়ালের কানে। তার সবকটি প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসের স্তরে স্তরে। এর কণায় কণায় মিশে গ্যাছে তাঁর জীবনাচরণ, বেদনাবোধ, প্রেম-অপ্রেম, চিন্তা-অচিন্তার অপাঠ্য কথকতা।
এবার এর সবটুকু দায় পাঠকের। যে যার চোখে যেভাবে দেখবেন, যেভাবে আঁকবেন, সেভাবেই বাঁধা পড়বে ভিন্ন ভিন্ন একটি নাম; ভিন্ন ভিন্ন একজন মানুষ, মোস্তাফা সরয়ার ফারুকী।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এর সৃজনশীল ও অনুপ্রেরণামূলক বইগুলো আজই সংগ্রহ করুন। তার লেখাগুলো আপনাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তার জগতে নিয়ে যাবে। অর্ডার করুন এখনই!