উৎসব শেষ। শ’তিনেক অতিথির কয়েকজন মাত্র আছে। মদে গোসল করার মতো অবস্থা তাদের। এই সুযোগ। সিনজিয়ার হাত ধরে চলে এলাম প্রাসাদের পিছনের বাগানে। আকাশে গোলাকার চাঁদ। স্নিগ্ধ আলোয় ভেসে যাচ্ছে বাগান। বাতাসে ভাসছে ফুলের পাগল করা সুগন্ধ। ‘গিলিয়ানো বজ্জাতটার জন্যে এতক্ষণ আটকা পড়েছিলাম। ওটা একটা শুয়োর।’ সিনজিয়ার চোখে আলো ঠিকরে বেরুল, ‘দিন দিন অসহ্য হয়ে উঠছে একেবারে।’ ‘আমি কিন্তু গিলিয়ানোর মতো বজ্জাতি করব না। তোমার জন্যে আমি সবকিছু করতে পারি।’ ‘জানি,’ হাত বাড়িয়ে আমার একটা হাত ধরল সে। প্রকৃতির রূপ কতক্ষণ পান করেছিলাম জানি না। ভাবছিলাম, এ পরকীয়া ভালোবাসা কোথায়, কোন পথে নিয়ে যাবে আমাদের কে জানে! ওর স্বামীটা একটা বদমাশ। যখন তখন অত্যাচার করে ওর ওপর। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্যে সে পারে না এমন কাজ নেই। সবসময় মনে করে ওর চাওয়া-পাওয়াটুকু পূরণ হলেই হলো। স্ত্রীর যে আলাদা কোনো চাহিদা, কোনো দাবি থাকতে পারে, এটা সে চিন্তার মধ্যেও আনে না। তাই মনের জ্বালা জুড়োতে আমার কাছে ছুটে আসতে হয় সিনজিয়াকে। ‘বেজন্মা কুত্তা!’ অন্ধকারে হিসহিস করে উঠল লুসিনোলোর গলা। দু’জন দু’দিকে ছিটকে গেলাম। আমার কলার চেপে ধরল লুসিনোলো, ‘আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!’ আমার এক প্রচণ্ড ঘুসিতে ছিটকে পড়ল প্রিন্স গিলিয়ানো লুসিনোলো। কোমর থেকে তলোয়ার টেনে বুকে বসাতে যাব, থেমে গেলাম সিনজিয়ার আর্তচিৎকারে। ‘বেজন্মা কুত্তা!’ আবার হিসহিস করে উঠল লুসিনোলো। তলোয়ারের হাতল দিয়ে ঘা দিলাম মাথার পাশে। পড়ে গেল সে। অজ্ঞান।