১৮৪৯ সালের ২৯ মার্চ পাঞ্জাবের তরুণ মহারাজা দালিপ সিং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর রাজ্য সমর্পণের চুক্তি সংশোধন করেন। চুক্তির তিন নম্বর ধারায় ছিল যে, বিশ্বখ্যাত হীরক 'কোহিনুর' মহারানি ভিক্টোরিয়াকে হস্তান্তর করতে হবে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পরিচালকরা রানি ভিক্টোরিয়াকে উপহার দেয় জগদ্বিখ্যাত 'কোহিনুর' হীরা। সামগ্রিক ঘটনার প্রেক্ষিতে কোহিনুরকে ব্রিটিশের ভারত জয়ের ঐতিহাসিক এক প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কোহিনুরকে বিবেচনা করা হয় রোমান্টিক হীরক হিসেবে। কারণ, কোহিনুরের ঠিকরে পড়া ঔজ্জ্বল্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারত, পারস্য, আফগানিস্তান ও ব্রিটিশ ইতিহাসের বর্ণাঢ্য ও ঝঞ্ঝাপূর্ণ ঘটনা এবং সেসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাহিনি।
'কোহিনুর' ইংল্যান্ডে পৌঁছার পর অনেক লেখক কোহিনুরের উৎস ও মালিকানা নিয়ে অনুমান-নির্ভর বহু কাহিনি লিখেছেন। অনেকে বলেছেন, এই হীরার অস্তিত্ব প্রাচীনকাল থেকেই ছিল। অনেকে বলেছেন হিন্দুস্থানে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার পর থেকে অথবা সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে প্রথম কোহিনুর হীরার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। এই বই ইতিহাসখ্যাত হীরকখণ্ড 'কোহিনুর' সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য মিথ গল্প আমাদেরকে জানাবে।
ইরাদজ আমিনী এর সাহিত্য পাঠককে নতুন জ্ঞান ও অনুভূতি প্রদান করবে। তার সেরা বইগুলো এখনই অর্ডার করুন এবং ডিস্কাউন্টে সংগ্রহ করুন, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করুন।