‘চিলড্রেন অফ হ্যাভেন’ কেবল মাজিদ মাজিদির অন্যতম সেরা চলচ্চিত্রই নয়; বরং পুরো ইরানি চলচ্চিত্রের সেরা সম্পদগুলোর একটি। এই সিনেমা দিয়েই তিনি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের বিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত মাত্র একটি ইরানি চলচ্চিত্র অস্কার পুরস্কারের জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু সিনেমা বিভিন্ন বছরে অংশগ্রহণ করে। ২০ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের একটি চলচ্চিত্র অস্কারের সর্বশেষ ধাপে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকার সেরা পাঁচ চলচ্চিত্রের মধ্যে চলে আসে। সেটিই ছিল ইরানের এই বরেণ্য পরিচালকের ‘চিলড্রেন অফ হ্যাভেন’ । চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যায়— বালক আলী তার স্কুলের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সে প্রতিযোগিতায় প্রথম না হয়ে তৃতীয় হতে চায়। কারণ তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে এক জোড়া জুতো দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণেই সে অংশগ্রহণ করেছিল এবং জুতোটি সে তার বোনকে উপহার দিবে বলে মনস্থির করেছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে সে প্রথম স্থান অধিকার করে ফেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুরস্কার হিসেবে সে আর জুতো জোড়াটি পায় না; প্রথম পুরস্কার হিসেবে অন্য কিছু লাভ করে। চলচ্চিত্রটি আজ থেকে প্রায় ২৫-২৬ বছর পূর্বে বাংলা ভাষায় ডাবিং হয়েছিল। এদেশের অসংখ্য দর্শক একাধিকবার চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেছেন।
মাজিদ মাজিদি এর অনুপ্রেরণামূলক বইগুলো এখনই অর্ডার করুন। তার লেখাগুলো আপনাকে নতুন ভাবনা ও জীবনের গভীরতর অনুভূতির সাথে পরিচিত করবে! আজই সংগ্রহ করুন আপনার কপিটি।