আল্লাহ আত্মার মতো এবং পৃথিবী দেহের মতো। আত্মা থেকেই আসে দেহের ভালো ও মন্দ। কারও কাছে যদি সত্যিকার ইবাদতের আশ্রয় প্রকাশিত হয়, তখন শুধু ধর্মের রীতি ও বিধি পালনের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখা লজ্জাজনক। রুমি লিখেছেন, সুফিবাদ হচ্ছে দুঃখ-যাতনার সময়ে হৃদয়ে আনন্দোচ্ছ্বাসের সন্ধান লাভ। কারও হৃদয়ে যখন আল্লাহর প্রতি প্রেম জাগ্রত হয়, তখন কোনো সন্দেহ থাকে না যে তার প্রতিও আল্লাহ প্রেম অনুভব করেন। আত্মা ভালোবাসে জ্ঞান, বিজ্ঞতা এবং ঐশ্বর্যময় বস্তু; কিন্তু দেহ আকাঙ্ক্ষা করে বাড়িঘর, উদ্যান, দ্রাক্ষাকুঞ্জ, খাদ্য এবং অন্যান্য জাগতিক বস্তু। রুমি বিশ্বাস করেন যে, নিরঙ্কুশ মন্দ বলে কোনো কিছু নেই, পৃথিবীতে অশুভ আপেক্ষিক বিষয় মাত্র। সাপের যে বিষ তা সাপের নিজ জীবন রক্ষার জন্য, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে সাপের বিষের অর্থ অনিবার্য মৃত্যু। জালালুদ্দিন রুমি আমাদের এই পৃথিবীকে তুলনা করেছেন একজন নিদ্রিত ব্যক্তির স্বপ্নের সঙ্গে। যিনি স্বপ্ন দেখেন, দেখার সময় স্বপ্ন তার কাছে বাস্তব মনে হয়, কিন্তু যখন জেগে ওঠেন তখন ঘুমের মধ্যে দেখা বস্তুগত দিকগুলো তাকে কোনোভাবে লাভবান করে না। বর্তমান নির্ভর করে ঘুমের মধ্যে একজন মানুষ কী অনুরোধ করেছিল তার ওপর।
আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু এর অনবদ্য গল্প ও প্রবন্ধের সংগ্রহ থেকে আপনার পছন্দের বইটি কিনুন। তার লেখা আপনাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুপ্রেরণা দেবে, আজই সংগ্রহ করুন!