এই ছোট আত্মকথাটি লিখেছিলাম ২০০৭ সালে, অসুস্থ, ঘরবন্দি অবস্থায়, সংক্ষিপ্ত, অতিদ্রত। কয়েক বছর আগে শুধু ষাটের দশক নিয়ে ছোট একটি আত্মকথা লিখেছিলাম, স্মৃতির নোটবুক নামে যা গ্রন্থাকারে বেরিয়েছে। পুরো আত্মজীবনী কবে লিখতে পারব, কবে শান্তি আর স্থিরতা পাব, জানি না। বেলা দ্রত পড়ে আসছে। দু-দুবার সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখের ব্যাদান থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছি কীভাবে যেন। আগেকার কিছু আত্মজৈবনিক রচনা ভিতরে গুঁজে দিয়েছি। শেষাংশে একগুচ্ছ সাক্ষাৎকার। কত-যে সাক্ষাৎকার হারিয়ে গেছে! হাতের কাছে যা ছিল, আপাতত তা-ই গ্রন্থিত হয়ে থাক। এসব সাক্ষাৎকারের মধ্যেও তো আমিই প্রতিফলিত-প্রতিসরিত এই বিবেচনা থেকে এগুলিও গ্রন্থধৃত হলো।
এবার আমার বছর তিরিশের ডায়েরিও বেরিয়েছে- ডায়েরি : ১৯৭৮- ২০০৮। সেও আত্মস্মৃতিরই তো অংশ।
তবে আত্মকথা লিখে কে কবে সব কথা জানাতে পেরেছে! সেই অসম্ভবকে সালাম জানিয়ে যতি টেনে দিতেই হয় একসময়। দিলাম আমিও।