এই চলচ্চিত্রের দর্শকগণ দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবী শ্রেণির কেউ নন, সাধারণ মানুষের দর্শক। যদি আমরা এটিকে দার্শনিক দৃষ্টিতে দেখতে চাই এবং জোর জবরদস্তি করে দর্শন বের করে আনার চেষ্টা করি, তবে নিশ্চিত ‘ইমিগ্র্যান্ট’ চলচ্চিত্রটির প্রতি জুলুম করা হবে। যদি থেকেও থাকে, তবে সেটি হাতামিকিয়ার দৃষ্টির দর্শন বলা যেতে পারে, যেখানে টেকনোলজি ও আনুষঙ্গিক ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ লেখা যেতে পারে। কেননা, তিনি পাহবাদ (ড্রোন)-কে শুধু একটি নির্জীব যন্ত্র হিসেবে দেখেননি। ড্রোনটি আত্মা খুঁজে পায়; আসাদ, আসগার ও গফুরের প্রাণ এটির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। আর এ কারণে বলা যেতে পারে এটি প্রথম থেকেই জীবিত একটি আত্মার ন্যায় জেগে ওঠে। হাতামিকিয়ার চিন্তায় মানুষ শুধু এই টেকনোলজির রক্ষকই নয়; ক্ষেত্রবিশেষে আত্মা জুড়ে দেওয়ার প্রদায়কও বটে। হাতামিকিয়ার সিনেমাটিতে সবকিছু জীবিত। যেমন মাহমুদের বাঁশি স্মরণ করিয়ে দেয় যে সে জীবিত আছে। মাহমুদের সঙ্গে তার বাঁশির সম্পর্ক শুধু নির্জীব ও প্রাণহীন নয়। অপরিচিতের দূরত্বে থাকা একটি সম্পর্ক, যে কিনা অনবরত নিজের রহস্য বলে যাচ্ছে।
মুমিত আল রশিদ এর জনপ্রিয় বইগুলো এখন ডিস্কাউন্টে কিনুন। অর্ডার করে আপনার সংগ্রহ সমৃদ্ধ করুন এবং চমৎকার সাহিত্যকর্মের অংশীদার হোন! আজই সংগ্রহ করুন আপনার কপিটি।