উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্মৌ ছিল অযোধ্যার রাজধানী। মোগল সাম্রাজ্যে অযোধ্যা ছিল একটি ‘সুবা’ বা প্রদেশ। মোগল সাম্রাজ্যের পতনের পর প্রদেশগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়লে অযোধ্যার উজির একজন স্বাধীন শাসকে পরিণত হন। দিল্লির সঙ্গে নামেমাত্র একটা সম্পর্ক ছিল তাঁর।
অযোধ্যা ভারতের মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। অযোধ্যার নবাবরা ভারতের ইতিহাসে নানা কারণে উল্লেখযোগ্য হয়ে আছেন। সুবা বাংলায় বসতি স্থাপনকারী ব্রিটিশদের রক্ষা এবং তাদের সামরিক সাহায্য প্রদান করেছেন তারা। অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার লক্ষ্যে অযোধ্যার নবাবরা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সাথে অনেকগুলো চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন।
১৮৫৭ সালের অভ্যুত্থানের ইতিহাস বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ এবং সুদূরপ্রসারী সামরিক অভিযানের কাহিনিতে পূর্ণ। কিন্তু যুদ্ধ দৃশ্যের পিছনে বহু অজানা অথচ গতিশীল ব্যক্তিত্বের ভূমিকা ছিল। সেখানে ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ছিল দেশপ্রেম। এ গ্রন্থে উপস্থাপিত কাহিনিগুলো অযোধ্যা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সঙ্গেই অধিক সংশ্লিষ্ট। নিঃসন্দেহে পাঠক অযোদ্ধার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে থাকা অনেক অজানা কাহিনির খোঁজ পাবেন এই বইতে।
আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু এর অনবদ্য গল্প ও প্রবন্ধের সংগ্রহ থেকে আপনার পছন্দের বইটি কিনুন। তার লেখা আপনাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুপ্রেরণা দেবে, আজই সংগ্রহ করুন!